আবু হানিফ, বাগেরহাট অফিস :
বাগেরহাটের শরণখোলার সাউথখালী ইউনিয়নের বগীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ৩৫/১ পোল্ডারের ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ মেরামতে কাজ শুরু হয়েছে। জোয়ারের পানি বন্ধের জন্য শুক্রবার সকাল থেকে ভাঙ্গনের স্থানে বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরের দিকে উপকূলীয় বাধ নির্মাণ প্রকল্পের খুলনার ডেপুটী রেসিডেন্ট ই্িধসঢ়;ঞ্জনিয়ার একেএম সাইদউদ্দিন ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এদিকে, উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প (সিইআইপি) কর্তৃপক্ষের দাবি, পানির চাপ প্রবল। তাই জরুরী রিং বাঁধের জন্য স্ক্যাবেটর মেশিন ঘটনাস্থলে গেলেও প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারছেনা। বগী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রিয়াদুল পঞ্চায়েত বলেন, চার দিন ধরে বগী গ্রামের তিন শতাধিক পরিবারে রান্নাবান্না হয়নি। বাজার থেকে শুকনা খাবর কিনে খেতে হচ্ছে তাঁদের। মানুষ স্বাভাবিক কাজকর্মও করতে পারছেনা। বলেশ্বর নদীর জোয়ারে পানির চাপে ঘরবাড়ি ছেড়ে দুই শতাধিক লোক বগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুন্দরবন দাখিল মাদরাসা ও দশঘর সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছিল। ভাঙনে এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ ও খাদ্য সহায়তা দেওয়ার উচিৎ। এব্যাপারে উপকূলীয় বাধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি) দায়িত্বরত প্রকৌশলী শ্যামল দত্ত বলেন, জিও ব্যাগে বালু ও মাটি ভরে ভাঙ্গনস্থলে ফেলা হচ্ছে। পানির চাপ কমলে পরবর্তীতে স্ক্যাবেটর মেশিন দিয়ে মাটি কেটে রিং বাঁদ দেওয়া হবে। শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস বলেন, বগী বেড়িবাঁধের অবস্থা খুবই খারাপ। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে মাটির ব্যাবস্থা করা হয়েছে। মাটি এবং বালু জিও ব্যাগে ভরে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। পানির চাপ কমলে সেখানে স্ক্যাবেটর মেশিন দিয়ে মাটি কেটে রিং বাঁধ দেওয়া হবে। পানিতে আমন এবং মৎস্য সেক্টরের যে ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপন করে ক্ষতিপুরণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।